Posts

Showing posts from May, 2025

আগে ভাঙো পরে গড়ো(৩য় পর্ব)

 আগে ভাঙো পরে গড়ো(৩য় পর্ব) নামাজের বায্যিক রহস্য তারপর সূরা ফাতিহার সাথে একটি সূরা মিলানো হয়।এটা জুরুরি।সূরা মিলানো ছাড়া কোনো নামাজ  হবেনা।সূরা মিলানোর রহস্য হল কুরআন তেলাওয়াত করা,যা ওহির মাধ্যমে নাজিল হয়েছে। তারপর রুকুতে যাওয়া হয়।এর রহস্য হল নিজের সবকিছুকে আল্লাহর  সামনে ঝুকিয়ে দেওয়া, এবং আনুগত্য শিকার করে নেওয়া।তারপর আবার উঠে দাড়ানো হয় এর রহস্য হল,সেজদায় যাওয়ার জন্য উত্তম ভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করা।তারপর সেজদায় জাওয়া হয় এর রহস্য হল,আমি নিজেকে পরিপূর্ণ রুপে আপনার কাছে ছেড়ে দিলাম। আপনার আনুগত্যের জন্য  আমি নিজেকে সম্পূর্ণরুপে পেশ করলাম। তারপর সেজদা থেকে উঠে মাঝে বসা হয় এর রহস্য হল প্রথম সেজদায় যে কথাবার্তা হলো সেগুলো পর্যালোচনা করে কিছুক্ষণ ধ্যান করা,তারপর দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে প্রথম সেজদাকে সমর্থন দেওয়া,  যেমন প্রথম সেজদায় যদি আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার রাস্তা কিন্তু অনেক কষ্টের, পারবে তো!  দ্বিতীয় সেজদায় জানিয়ে দেওয়া, অবশ্যই পারব।তবে আপনার সাহায্য চাই। তারপর দ্বিতীয় রাকায়াতে ও এরকম মনোভাব রাখা।আর যদি এসমস্ত মনোভাব কষ্টকর হয় তাহরে দরকার নেই,আপনার যেভাবে সহজ এব...

প্রকৃতিতে খুজি তোমায়

 ভূমিকা প্রকৃতি আমাদের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। গাছগাছালি, ফুল, ফল, আকাশের তারা—সবকিছুই আমাদের মনে জাগায় অদ্ভুত মুগ্ধতা। এই কবিতায় কবি প্রকৃতির সেই অপার রহস্য আর সৃজনশীলতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানকে ভালোবাসায় জড়িয়ে নিয়েছেন এবং সেখানেই খুঁজেছেন চিরন্তন প্রেমের প্রতিচ্ছবি। কবিতার প্রতিটি স্তবকে ফুটে উঠেছে মানুষের অজানা কৌতূহল, বিস্ময় আর আধ্যাত্মিক সাধনা। কবি বিশ্বাস করেন—যদি প্রকৃতিকে নিপুণভাবে অনুভব করা যায়, তবে তারই মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় চিরন্তন ভালোবাসার সুর। পাঠক এই কবিতার মাধ্যমে প্রকৃতির নিগূঢ় রূপের ছোঁয়া পেয়ে যাবেন। প্রকৃতিতে খুজি তোমায় প্রকৃতির মাঝে খুঁজি তোমায় ওহে চিরন্তন,  আশা নিয়ে বের হতে চাই,করব বিশ্ব ভ্রমন।। গাছগাছালি তরুলতা আছে যত ধরায় তাহা নিয়ে চিন্তা করব নিপুণ গবেষনায়। আসমানের ঐ তারকারাজি, চন্দ,সূর্য মাঝে, খুঁজব বসে তোমায় আমি প্রতি সকাল-সাঝে দুনিয়াদারি সব ছেরে যাই তোমায় পাবার আশে কাছে কাছে রেখ সদা আমায় ভালবেসে। নানা রঙের গাছ গাছালীর নানা প্রকার ক্রিয়া,  যত দেখে তত ভাবে অবাক বনে হিয়া কোনো গাছের ফলে থাকে মিষ্টি ভরা রস আবার কোনো গা...

হারিয়ে যাই চলো অনন্ত প্রেমে

 ভূমিকা: মানুষের জীবন স্রষ্টার এক অমূল্য দান। প্রতিটি কষ্ট, প্রতিটি সাফল্য, প্রতিটি মুহূর্তে থাকে এক আধ্যাত্মিক রহস্য—স্রষ্টার পরিকল্পনা। আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা বারবার শিখি, কষ্টের মাধ্যমে শুদ্ধ হই, আর প্রেমের আগুনে পুড়ে পবিত্র হই। এই ব্লগে স্থান পেয়েছে দুটি কবিতা—“কষ্টের প্রতিদান” ও “হারিয়ে যাই চল অনন্ত প্রেমে”—যেখানে আধ্যাত্মিকতা, প্রেমের অনন্ততা এবং জীবনসংগ্রামের মাহাত্ম্য একাকার হয়ে ধরা দিয়েছে। আসুন, এই কবিতাগুলির মাধ্যমে আমরা হৃদয়কে খুঁজে নিই প্রভুর রহমত আর প্রেমের শাশ্বত দ্যুতি। হারিয়ে যাই চলো অনন্ত প্রেমে  একটুখানি গিয়ে কভু নাহি যাও থেমে কষ্ট দুঃখ আসুক যত ক্লান্তি লাগুক মনে সব কিছু মেনে নাও হাস্য বদনে।। কঠিণ ঘাটি সহজ হবে প্রেমের গুনে, চলো বন্ধু ঝাপিয়ে পড়ি এই আগুনে, কোনো কিছু পেতে হলে জ্বালাতে হয় জান বিনা ক্লেশে যাহা আসে থাকেনা তার প্রান দুনিয়া পেতেই যবে এত কষ্ট রবে তাকে পেতে নাহ জানি কত কষ্ট হবে। সহজেই যদি তুমি পেয়ে যাও তাকে স্বাদ নাহি জাগে মনে কদর না থাকে। যে জিনিস অনেক কষ্টের পরে হাসিল হয়, সে জিনিসের মূল্য ভাই,অনেক বেড়ে যায়।। আরেকটি  কষ্টের প্রতিদ...

পরিপূর্ণ মানবতা: চূড়ান্ত সফলতার ডাক (২য় পর্ব)

 পরিপূর্ণ মানবতা: চূড়ান্ত সফলতার ডাক (২য় পর্ব) মানব সৃষ্টির রহস্য > “আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদের বললেন, ‘আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি সৃষ্টি করব’, তখন তারা বলল, ‘তুমি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে, যে সেখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা তো তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি ও তোমার মহিমা গাইছি।’ তিনি বললেন, ‘আমি যা জানি, তা তোমরা জান না।” (সূরা আল-বাকারা: ৩০) মানব সৃষ্টির রহস্যের অনেক দিক রয়েছে। প্রথমত, এটা আল্লাহর ইচ্ছা। তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। এর পেছনে কোন কৈফিয়ত চাইবার অধিকার আমাদের নেই। আল্লাহ বলেন, "তিনি যা চান, তাই করেন।" সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিনিই একমাত্র সিদ্ধান্তগ্রহীতা। দ্বিতীয়ত, একজন বুযুর্গ আরিফের কথায়—মানুষ সৃষ্টি হয়েছেন মানুষের উপকারের জন্য। এখানে আল্লাহর নিজের কোন লাভ নেই। এটা একধরনের দাতব্য সৃষ্টি—যেখানে দয়াময় আল্লাহ তাঁর মাখলুকের মাধ্যমে দয়ারই ছায়া বিস্তার করেন। তৃতীয়ত, সুফি দরবেশদের অভিব্যক্তি— “আমি ছিলাম একটি গুপ্ত ভাণ্ডার, আমি চাইলাম পরিচিত হতে, অতঃপর সবকিছু সৃষ্টি করলাম।” এই কথা সরাসরি কুরআন বা হাদীস নয়, কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে এ...

ব্যাথিত হৃদয়:যত জ্বলবে তত খাঁটি হবে।(একটি কবিতা)

 ভূমিকা: বিরহ ও আত্মশুদ্ধি মানব হৃদয় সহজে শান্ত হয় না। কখনো তা প্রেমে পূর্ণ হয়, কখনো বিচ্ছেদে দগ্ধ হয়। এই দহন, এই যন্ত্রণা অনেকের কাছে কেবলই কষ্ট হলেও, একজন আত্মসন্ধানীর জন্য তা হয় আত্মশুদ্ধির অনন্য উপায়। কেননা, যে হৃদয় দুনিয়ার মোহে পুড়ে ছাই হয়, সেই হৃদয়ই এক সময় আল্লাহর প্রেমে নিঃস্ব হয়ে ফিরে পায় প্রকৃত পরিপূর্ণতা। প্রকৃত প্রেমিক সেই, যে বিরহের আগুনে জ্বলতে জানে—কিন্তু হায়াহ (লজ্জা), ইখলাস (নিষ্ঠা) ও সবর (ধৈর্য) নিয়ে। এই অধ্যায় সেইসব হৃদয়ের জন্য, যারা প্রেমের রূপ ধরে আত্মার মুক্তি খোঁজে। যারা বিচ্ছেদের বেদনাতেই রবের সান্নিধ্য অনুভব করে। নিচের কবিতাটি সেই আত্মিক জ্বালার প্রতিচ্ছবি, যেখানে আগুন শুধু পোড়ায় না—গড়ে তোলে, পরিশুদ্ধ করে, আর অবশেষে আলোকিত করে। ব্যাথিত হৃদয়:যত জ্বলবে তত খাঁটি হবে।। বিরহ বিচ্ছেদে জ্বলতে থাকুক হৃদয় নিরন্তর জ্বালাতে থাকো নিজেকে নিরবধি এক আগুনে, যে আগুন জাহান্নামের থেকেও অধিক ভয়ংকর যে আগুন অপূর্ণতাকে জ্বালিয়ে পরিপূর্ণ করে,  যদি কারো প্রতি থাকে গভীর প্রেমের বন্ধন হঠাৎ ভেঙে গিয়ে যদি শুরু হয় বিরহ ক্রন্দন। তখনই হৃদয় দগ্ধ হতে থাকে এক আগুনে,  যে আগুন দেখা যা...

পরিপূর্ণ মানবতা:চুড়ান্ত সফলতার ডাক (১ম পর্ব)

  পরিপূর্ণ মানবতা:চুড়ান্ত সফলতার ডাক ভুমিকা :মানুষ সুধুমাত্র শারীরিক কাঠামোর নাম নয়,মানব শরীর তো কেবল কিছু কেমিক্যালের সমষ্টি ছাড়া কিছু নয়। তাহলে পরিপূর্ণ মানুষ আমরা কাকে বলব? উত্তর :তারা আপনাকে রুহ সম্পর্কে জিগ্যেস করে!বলুন রুহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত।(বনি ইসরাইল)  কুরআন শরীফের আয়াত দ্বারা প্রমানিত যে,মানুষের মধ্যে রুহ নামক একটা আশ্চর্য জনক জিনিস রয়েছে। এই রুহ আসলে কি? উপরুক্ত আয়াতের সাথেই আল্লাহ তায়ালা বলেন,রুহ সম্পর্কে তোমাদেরকে কোনো জ্ঞান দেওয়া হয়নি,তবে অল্প পরিমাণ দেওয়া হয়েছে। (বানি ইসরাইল)  এই রুহ যে আসলে কি তা আমরা জানিনা,তবে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু জানিয়েছেন ততটুকু জানি। শরীর এবং রুহের সমষ্টি মিলে একটি পরিপূর্ণ মানুষ গঠিত হয়। আমরা যে খাবার খাই,এগুলো বায্যিক শরীরকে পুষ্ট করে।অনুরুপভাবে রুহেরও খাবার রয়েছে, রুহের খাবার হল নামাজ, রোজা, যিকির আযকার,তালিম তরবিয়ত, ইলম ইত্যাদি। নবীরসুল (আলাইহিমুসসালামগন) গনের পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য : উপরুক্ত রুহানী জাগরণ এবং খেদমত আঞ্জাম দেওয়ার জন্যইপৃথিবীতে নবী রসূল দের আগমন হয়েছিল?আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাব একমাত্র নবী রসূল দের শিক্ষা ব...

যেতে হবে অনেক দূর

 ভূমিকা জীবন একটি অনির্বচনীয় সফর—যার শেষ গন্তব্য জানি না আমরা, কিন্তু যার প্রতিটি ধাপে আছে পরীক্ষা, প্রলোভন ও পরিবর্তনের ডাক। আমাদের অনেকেই ভাবে, এই দুনিয়াতেই সবকিছু; একটু নিরাপত্তা, কিছু সাফল্য, সামান্য আনন্দ—তাতেই বুঝি জীবন সম্পূর্ণ। কিন্তু সত্যিকারের জ্ঞানীরা জানেন, এই দুনিয়ার পিছনে রয়েছে আরেক বাস্তবতা—চিরন্তন জীবনের প্রস্তুতির সময় এখন। এই কবিতাটি সেই আত্মজাগরণের ডাক। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, বসে থাকলে চলবে না, শয়তানের ফাঁদে পড়ে গেলে পথ হারাতে হবে। তাই কবিতায় যেমন বলা হয়েছে—"যেতে হবে অনেক দূর"—ঠিক তেমনই আমাদেরও এক আত্মিক যাত্রায় বেরিয়ে পড়া প্রয়োজন। মোহ ছেড়ে, অলসতা ছেড়ে, সত্যের দিকে, আল্লাহর দিকে ফিরে আসারই এ আহ্বান।যেতে হবে অনেক দূর যেতে হবে অনেক দূর,হে প্রিয় ভাই, একটুখানি গিয়ে পরে,থেমে না যাই।। ভাবছো বসে,সব পেয়েছো,আরকিছু কি চাই, কিন্তু এখনো পাওনি কিছু,সবকিছুই ছাই।। সামনে গিয়ে দেখো আরো কত কিছু আছে, তখন তুমি বুঝতে পাবে,কি রেখেছো পাছে, এখন তুমি বুঝনা কারন,অবুঝ তোমারমন, সামনে গিয়ে বুঝবে তুমি সব পাবে যখন। যেতে হবে অনেকদূর সবকিছু ছেড়ে, যদি বসে থাক,তবে ছিটকে পড়বে দূরে।  বসে থ...

জাগ্রত হৃদয় :হৃদয়ের শান্তি (একটি সনেট কবিতা)

 ভূমিকা জাগ্রত হৃদয় মানুষের হৃদয় সহজেই মোহ, অলসতা ও দুনিয়ার ছলনাতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু একজন মুমিনের হৃদয় সবসময় জাগ্রত থাকতে হয় — যেন সে বুঝতে পারে কোনটা সত্য আর কোনটা ধোঁকা। সময় অতি মূল্যবান, প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের পরীক্ষার অংশ। যারা অলসতা ও গাফলতের চাদরে মুখ লুকায়, তারা দিনশেষে পস্তাতে বাধ্য হয়। এই অধ্যায় আমাদের ডাকে — ঘুমন্ত আত্মাকে জাগাতে, কাজে মন দিতে, আলসেমিকে বিদায় জানাতে, এবং হকের পথে অবিচল থাকার সংকল্প নিতে। কারণ একমাত্র জাগ্রত হৃদয়ই আলোর পথ চিনতে পারে, জান্নাতের পথ খুঁজে পায়। আর যে হৃদয় সাড়া দেয় না, সে হারিয়ে যায় অন্ধকারে। আসুন, আত্মাকে জাগাই। পথ চলি সচেতন চিত্তে, সক্রিয় কর্মে, এবং খাঁটি নিয়তে। এই কবিতা সেই জাগরণের আহ্বান।জাগ্রত হৃদয়  হৃদয়ের শান্তি হৃদয়কে জাগিয়ে তুলো, হয়েছে সময়, ঘুমোবে আর কত,সময় চলে যায়।। কাজে লেগে পড়,দূর কর ঝিমুনি, এখনি সময়,উঠ!হও সুযোগ সন্ধানি।। তাকিয়ে দেখ, যে সময় গিয়েছে চলে, তা আর কভু ফিরে,ফিরে আসেনি।। হে ভাই,পথ ছেড়ে যাও কোন দিকে, তারাতারি পথে আসো দ্রুত ঘোরা হেকে, দস্যুরা পাতে ফাঁদ পথের ফাকে ফাকে, তাহাদের হাতে কভু নাহি পড় ধরা।। কাজে লেগে পড় মন আ...

হারানো জীবনের স্মৃতি: প্রথম পর্ব

 হারানো জীবনের স্মৃতি: প্রথম পর্ব বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আমি আমার নানাবাড়িতে ১৯৯৮ সালের শীতকালে জন্মগ্রহণ করি। ছোটবেলার একটি ঘটনা আমি আজও ভুলতে পারি না। আমার আম্মা একদিন নানাবাড়ির চৌকির ওপর আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে আমি কান্না শুরু করি। তখন আমার আম্মার মামাতো বোন সুরাইয়া দৌড়ে এসে আমাকে কোলে তুলে নেন এবং আম্মার কাছে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু যখন আমাকে তাঁর কাঁধে তোলার চেষ্টা করেন, হঠাৎ তাঁর হাত ফসকে আমি মাটিতে পড়ে যাই। অনেকক্ষণ দম বন্ধ হয়ে ছিল—পরিবারের সবার আতঙ্কিত চেহারা আজও মনে আছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে যাই। আজ যখন বড় হয়ে গুনাহ, অপরাধ আর নাফরমানিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি, তখন ভাবি—হায়! যদি সেই শিশু অবস্থায়ই মারা যেতাম! তাহলে এইসব গুনাহের বোঝা বইতে হতো না… তখন আমার বয়স মাত্র দুই-তিন মাস। আরেকটি ঘটনা আমার হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে আছে, যা আজও ভুলতে পারি না। এটি ছিল আমার জীবনের প্রথম পদ্মা নদী দর্শন। ছোটবেলায় একদিন নানির সাথে পদ্মা নদী দেখতে গিয়েছিলাম, সাথে ছিলেন আম্মাও। কখনো আমি নানির কোলে চড়তাম, কখনো আবার আম্মার। পদ্মা নদী তখনও চোখে দেখিনি। নানাবাড়ি থেকে পদ্মা...

চিরন্তন প্রেমের দিকে: একটি কবিতা

 ভূমিকা: মানুষ জন্মগতভাবেই ভালোবাসা চায়, ভালোবাসতে চায়। কিন্তু আমরা অনেক সময় ভুল ভালোবাসার পেছনে ছুটে ক্লান্ত হয়ে পড়ি—যেখানে নেই শান্তি, নেই স্থায়িত্ব। অথচ এমন একজন আছেন, যাঁর প্রেমে নেই কোনো ধোঁকা, নেই কোনো ক্ষয়। তিনি হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা। এই কবিতাটি সেই অনন্ত প্রেমের দিকেই আমাদের মন ঘুরিয়ে দেয়—যেখানে প্রকৃত প্রশান্তি ও জীবনের স্বাদ লুকিয়ে আছে।ভালোবাসা—এই শব্দটি আমাদের জীবনের প্রতিটি পরতে ঘুরে ফিরে আসে। কিন্তু আমরা অনেক সময় ভুলে যাই, প্রকৃত ভালোবাসা কাকে দেওয়া উচিত। মানুষ তার অন্তরের গভীর ভালোবাসা এমন কিছুর প্রতি দেয়, যা ক্ষয়িষ্ণু, যা একদিন চলে যাবে। অথচ, যার কোনো ক্ষয় নেই, কোনো পরিবর্তন নেই—তিনিই হলেন আল্লাহ। এই কবিতাটিতে সেই চিরন্তন সত্যটি সহজ ও ছন্দোময় ভাষায় ব্যক্ত করা হয়েছে। একনিষ্ঠ প্রেম কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যই সংরক্ষিত হওয়া উচিত—এই বোধকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে সনেটটি। আল্লাহর যিকির, সময়ের সঠিক ব্যবহার, আর অন্তরের পবিত্রতা—এই তিন বিষয়কে একত্রে গেঁথে তোলা হয়েছে চরণে চরণে। আসুন, আমরা আমাদের হৃদয়কে ফেরাই তার দিকেই, যার প্রেমে নেই কোনো ভাঙন। ভালবাসো তাকে যার নেই কোনো...

অনন্ত প্রেম:ভালবাসার সঠিক ব্যাবহার ১

 আমরা সবাই ভালোবাসার খোঁজে থাকি—কারো ভালোবাসা চাই, আবার কাউকে ভালোবেসে ফেলি। কিন্তু খুব কম মানুষই বুঝতে পারে, ভালোবাসার সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত যোগ্যতাসম্পন্ন একমাত্র সত্তা হলেন আমাদের প্রভু—আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা। যাঁর প্রেমে নেই কোনো ক্ষয়, নেই কোনো ধোঁকা কিংবা বিমুখতা। এই কবিতাটি সেই চিরন্তন ভালোবাসার দিকেই আহ্বান জানায়। এখানে আমি চেষ্টা করেছি হৃদয়ের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা সেই অনুভবগুলোকে তুলে ধরতে—যেখানে অন্য সব প্রেম ম্লান হয়ে যায়, যদি তাঁর প্রেম হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। ভালোবাসো তাকে যার নেই কোনো ক্ষয় অন্যকে ভালোবাসা সুধু অপচয়।।  হৃদয়ের মনিকোঠায় তাকে সুধু রাখো অন্য কেউ এলে তাকে বলে দাও,ভাগো! জীবনের স্বাদ যদি পেতে চাও ভাই তাকে ভালোবাসা ছাড়া  বিকল্প নাই।  মনে রেখ তিনি ছাড়া সব কিছু ম্লান  তাকে ভালোবাসো তবে তাজা হবে প্রান।। তাঁর প্রেমে যদি ভিজে প্রাণের ঠাঁই, জীবনের স্বাদ পাবে নিশ্চয় ভাই। তিনি ছাড়া সবকিছু  আঁধারের ঠাই, সব সুখ তার প্রেমে যথাযথ পাই।

আত্মার রহস্য ও আত্মশুদ্ধির পথ :লোকালয় ছেড়ে যাও গভীর বনে

Image
 অধ্যায়: অন্তর্জগতের নিঃশব্দ আহ্বান লোকালয়ের কোলাহল, জীবনের ব্যস্ততা ও বৈষয়িক টানাপড়েন মানুষের হৃদয়কে ধীরে ধীরে নিষ্প্রাণ করে তোলে। অথচ সেই হৃদয়ের গভীরেই প্রভুর সঙ্গে সংযোগের দরজা খোলা থাকে সবসময়। এই দরজায় কড়া নাড়তে হয় নির্জনে, নীরবে, আত্মসমীক্ষার মাধ্যমে। দরবেশরা বলেন—হৃদয়ের ব্যথা মানুষ নয়, একমাত্র আল্লাহই জানেন। তিনি শোনেন, বোঝেন এবং উপশম দেন। তাই অন্তরকে পরিচ্ছন্ন করতে হলে দুনিয়ার অপ্রয়োজনীয় ভার ঝেড়ে ফেলে, অল্পে তুষ্ট থাকতে হয়; নিজের ভেতরেই সন্ধান করতে হয় অনন্ত ভালোবাসার। এই অধ্যায়ে একটি কবিতার মাধ্যমে সেই নিঃশব্দ পথচলারই আহ্বান জানানো হয়েছে—যেখানে মানুষ নিজেকে খুঁজে পায় প্রভুর সান্নিধ্যে, এবং প্রেমই হয় তার একমাত্র পথ ও সম্বল। লোকালয় ছেড়ে যাও গভীর বনে  লোকালয় ছেড়ে যাও গভীর বনে  মনে মনে কও কথা প্রভুর সনে  হৃদয়ের যত ব্যাথা শুনাও তাকে, তিনি ছাড়া ব্যাথাদূর কে করিতেপারে মগ্ন হও নিরবধি হৃদয়ের ধ্যানে হৃদয়ের সাফাই যদি চায় মনে, জরুরি কাজ ছাড়া সব বাদ দাও যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খাও।। একথা আমার  নয় দরবেশরা কয় দরবেশদের কথা কভু বানোয়াট নয় মানবের হিত সাধন কর সদায় দয়া মায়া দি...

চলো সবাই হারিয়ে যাই দূর অজানায়

Image
ব্লগার @হাবিবের সনেট কবিতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি,অভিভূত  হয়েছি,এবং তার সনেট কাব্য থেকে ছন্দ মিলিয়ে কিছু কবিতা রচনা করার চেষ্টা করেছি।।। ছবি:চ্যাট জিপিটি চলো সবাই হারিয়ে যাই দূর অজানায় কষ্ট দুঃখ পেরেশানির লেশ নাহি যেথায়। পাপ তাপে দগ্ধ হওয়া ক্লিষ্ট এ হৃদয়,, যেখানেই যায় কোথা সস্থি না পায় আগে ধুয়ে নাও তাকে খাটি তওবায় তবেই সে ভ্রমনের উপযোগী হয় খাটি তওবার ঘাটি যখন পার হয়ে যায় তারপরে থাক পরে মুর্শিদের ছায়ায় পার হয়ে যাবে পথ মালিকের দয়ায় আপন করে নিবেন তোমায় অপার মায়ায়।। যত কষ্ট দুঃখ আসুক হাল নাহি ছাড়, শয়তানের ফান্দে গিয়ে নাহি কভু পড়।। যেন রেখ শয়তান তোমার চির দুশমন, ভাল কভু নাহি চাহে,করে জ্বালাতন।।