বর্তমান বাংলাদেশের অবস্তা এবং আমাদের করনীয় :১ম পর্ব

৩//বর্তমান বাংলাদেশর অবস্তা এবং আমাদের করনীয়(((৩য় পর্ব))) =বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ভর করে এদেশের উৎপাদনের উপর।উৎপাদন যত বেশি হবে,রপ্তানি যত বেশি হবে এবং আমদানি কম হবে দেশ ততই উন্নত হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিনত করতে হলে,যুবকদের অলসতার ঘুম ভাঙাতে হবে,পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।আর সরকারের দায়িত্ব হলো,যুবকদেরকে যথাসম্ভব কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।বাংলাদেশে যথেষ্ট দক্ষ শ্রমিক রয়েছে,কিন্তু শ্রম প্রয়োগ করার জায়গা খুবই সীমিত। কিভাবে শ্রমিকদেরকে কাজে লাগানো যায়,এবং শ্রমক্ষেত্রের বিস্তার ঘটানো যায়? =এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।শ্রমিকদেরকে কাজে লাগানোর জন্য শ্রম ক্ষেত্রের বিস্তার ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণির জনগন বসবাস করে।এর মধ্যে রয়েছে,শিক্ষিত,দক্ষ,মুর্খ,এবং অদক্ষ। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাজও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে,উদাহরন সরুপ,শিক্ষিতরা কখোনো মুর্খদের কাজ করতে পারবেনা, করতে পারলেও তাদের জন্য সেটা বেমানান।অনুরুপভাবে মুর্খরাও শিক্ষিতদের কাজ করতে পারবেনা। আমাদের সমাজে দক্ষদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়,আর অদক্ষদেরকে পেছনে রাখা হয়।সুধু আমাদের দেশেই না সারা বিশ্বে একই অবস্তা। কিভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়? বিভিন্ন উপায়ে আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি,নিচে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো— ১।কৃষিক্ষত্রের বিস্তার ঘটানো: বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার প্রধান হাতিয়ার হলো কৃষি। কৃষিক্ষেত্রের বিস্তার ঘটানো ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি নিস্তেজ হয়ে পড়বে।এবং কৃষিক্ষেত্রের বিস্তার ঘটালে সেখানেও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। উদাহরন সরুপ বাংলাদেশে একসময় অনেক আঁখ চাষ হতো।কিন্তু বর্তমানে অনেক কম আখের চাষ হয়।আখ দিয়ে চিনি উৎপাদন করা যায়।যদি বাংলাদেশে প্রচুর আখ চাষ হতো,তাহলে বাংলাদেশে প্রচূর চিনি উৎপাদন কারখানা তৈরি করা যেত,সেখানেও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো।চিনি বিদেশে রপ্তানি করে ভালো একটা আয়ের ব্যাবস্তাও হবে। বাংলাদেশে প্রচূর পরিমানে পতিত জমি রয়েছে,এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য সরকারের উচিত এগিয়ে আসা। ২।শিল্প কারখানার বিস্তার ঘটানো দুঃখজনক হলো আজকেও আমাদেরকে অনেক এমন পন্যেের জন্য বিদেশের উপর নির্ভর করতে হয়,যা আসলে আমরা দেশেই তৈরি করতে পারি। আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমানে ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,মেকানিক, ইলেক্ট্রিশিয়ান,এবং বিভিন্ন বিষয়ের উপর উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ লোকজন রয়েছে।তারা নিজেরাই এগুলো তৈরি করতে পারে যা আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করি। এগুলো তৈরি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তুরতে হবে।দক্ষ জনগনকে সেখানে কাজে লাগাতে হবে, এবং অদক্ষ যুবকদেরকেো এসব বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। ৩।বাংলাদেশের সমস্ত যুবকে,যুদ্ধবিদ্যা সহ বিভিন্ন বিষেয়ে পারদর্শী করে তোলা,এবং বেকার যুবকদের জন্যও নূন্যতম ভাতার ব্যবস্তা করা। বাংলাদেশেের সমস্ত বেকার যুবকদেরকে একটা বাহিনী তে পরিনত করতে হবে।সরকারের পক্ষ থেকে তারা নূন্যতম বিশেষ ভাতা পাবে। এই বাহিনির কাজ হলো—দেশের যেকোনো দুর্যোগে, যেমন বিদেশের সাথে যুদ্ধ লাগলে,দেশে বন্যা ক্ষরা হলে,ঘুর্নিঝর হলে,বন্যা হলে,জান -প্রান দিয়ে ঝাপিয়ে পরা এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করা।বিনিময়ে তারা সরকারের কাছ থেকে ভাতা পাবে,এবং সৃষ্টিকর্তার কাছেও এরজন্য তারা বিরাট বড় পুরুষ্কার পাবেন। এসমস্ত যুবকরা ততদিন এই কাজে থাকবে যতদিন না তাদের ভালো কোনো ব্যবস্তা হয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সাহায্য করুন।আমিন।
Share on Google Plus

About হৃদয়ের প্রশান্তি

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment