পরিপূর্ণ মানবতা: চূড়ান্ত সফলতার ডাক (২য় পর্ব)

 পরিপূর্ণ মানবতা: চূড়ান্ত সফলতার ডাক (২য় পর্ব)


মানব সৃষ্টির রহস্য


> “আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদের বললেন, ‘আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি সৃষ্টি করব’, তখন তারা বলল, ‘তুমি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে, যে সেখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা তো তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি ও তোমার মহিমা গাইছি।’ তিনি বললেন, ‘আমি যা জানি, তা তোমরা জান না।”

(সূরা আল-বাকারা: ৩০)




মানব সৃষ্টির রহস্যের অনেক দিক রয়েছে।


প্রথমত, এটা আল্লাহর ইচ্ছা। তিনি যাকে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। এর পেছনে কোন কৈফিয়ত চাইবার অধিকার আমাদের নেই। আল্লাহ বলেন, "তিনি যা চান, তাই করেন।" সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিনিই একমাত্র সিদ্ধান্তগ্রহীতা।


দ্বিতীয়ত, একজন বুযুর্গ আরিফের কথায়—মানুষ সৃষ্টি হয়েছেন মানুষের উপকারের জন্য। এখানে আল্লাহর নিজের কোন লাভ নেই। এটা একধরনের দাতব্য সৃষ্টি—যেখানে দয়াময় আল্লাহ তাঁর মাখলুকের মাধ্যমে দয়ারই ছায়া বিস্তার করেন।


তৃতীয়ত, সুফি দরবেশদের অভিব্যক্তি—

“আমি ছিলাম একটি গুপ্ত ভাণ্ডার, আমি চাইলাম পরিচিত হতে, অতঃপর সবকিছু সৃষ্টি করলাম।”

এই কথা সরাসরি কুরআন বা হাদীস নয়, কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে এর তাৎপর্য গভীর। আল্লাহর সিফাতসমূহ যখন প্রকাশিত হয়, তখনই সৃষ্টি সম্ভাব হয়ে ওঠে।


চতুর্থত, একটি আধ্যাত্মিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী—

শয়তান বহু বছর ইবাদত করে অহংকারে ডুবে গিয়েছিল। সে ভাবত, এত ইবাদতের পর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে খলিফা বানাবেন। কিন্তু তার অহংকার ভাঙতেই আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেন—যিনি মাটি থেকে আসলেও ছিলেন নরম, বিনম্র, জ্ঞানপ্রাপ্ত ও খলিফার উপযুক্ত।

Share on Google Plus

About হৃদয়ের প্রশান্তি

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment