প্রকৃতিতে খুজি তোমায় ২য় পর্ব

  

কখোনো পাহাড়ে,কখোনো নদীতে,জঙ্গলে 

আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি এক  অজানায়

আপনি ছাড়া আমার চোখ, অন্যত্র তাকায় না,

আমার চোখ পরে পাখিতে,নৌকাতে, জঙ্গলে 

কিন্তু এগুলো আপনার দিকে তাকাতে বাধা নয়।


আমার মস্তিষ্কের চোখদুটো কতকিছু দেখে,

কিন্তু অন্তরের চোখ সুধু আপনাকেই দেখে।

মানুষের কামনা চাওয়া পাওয়া কতকিছু 

কিন্তু আমি চাই সুধু আপনাকে,অন্যকিছু নয়।।

আমাকে তাদের দলে রাখেন,সৃষ্টি থেকে যারা অন্ধ

কিন্তু আপনার নূরের দিকে চক্ষু খোলা।

সৃষ্টি জগত থেকে যারা ঘুমন্ত,কিন্তু আপনাতে জাগ্রত 

মুর্খরা যাদের থেকে দূরে থাকে পাগল মনে করে।।


কিন্তু বাস্তবে তারা পাগল নয়,পাগল সুধু তারা,যারা

সামান্য দুনিয়ার উপর শকুনের ন্যায় আসক্ত হয়,

মিসকিন দেরে যৎসামান্যও দেয়না,


তোমায় খুজি আমি ভোরের মৃদু সমিরনে

পাখির কলকলিতে,কোকিলের সূরতানে।

নদীর কলকল ধ্বনিতে কান পেতে থাকি

হৃদয়ের গভীরে এক স্বপ্ন বুনি,অতি যত্নে।।

হৃদয়কে আগেই টুকরো টুকরো করেছি,

ঘোরতর জঘন্য পাপ কার্য সম্পাদন করে।।

এখন আমি চাই হৃদয়কে সেই যোগ্যতায়

পৌছে দিতে,যেখানে বাজে সুধু সেই ধ্বনি,

যেখানে সুধু আপনার বানিই শুনি,

যেখানে সুধু আপনার চেহারাই চোখে থাকে,

অন্য কারো কথা সেথায় বাজেনা,শুনিতেও

পাওয়া যায়না।সেখানে বাজে সুধু আহাদধ্বনি।


একদিন এক বড় বৃক্ষের ডালে,ছিল একটি বাসা,

পাখির বাসা,নাম না জানা পাখির। সেখানে ছিল 

তিনটি পাখির ছানা।কৌতূহলে আমার হাত

একটি ছানাকে স্পর্শ করল।ঠিক তখনই ওর মা

আমার প্রতি ক্রোধান্বিত হল,এবং চেঁচামেচি শুরু 

করল।আমি ভয় পেয়ে গাছ থেকে নেমে এলাম।

সেদিন আমি কি অন্যায় করেছিলাম জানিনা

তারপর থেকেই পাখিটা,আমার পিছু ছাড়েনা,

আমি যেখানেই যাই,সেখানেই পাখিটিকে পাই।

পাখিটা আমার সামনে,এক গান জুড়ে দেয়।।

সে গানে আমি শিউরে উঠি,এবং বলি হে পাখি,

আমি যদি তোমার ছানাকে ধরে অপরাধ করি,

তাহলে আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থী। 

তারপরও পাখিগুলো আমার কথা বুঝেনা,,

সে সুধু বুঝে তার আত্মমর্যাদা, এবং যন্ত্রণা। 

কিন্তু সে পাখিটি,আমাকে চিনতে পারেনি,

মস্ত বড় ভুল করেছিল আমার পেছনে লেগে।।

সে জানেনা,আমি সহজে দমে যাওয়ার নই।

আমার পেছনে ও লেগেছে,আমিও ওর পেছনে

লেগে গেলাম।হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলল,দুদলের

মধ্যে।।একবার ও জিতে,আরেকবার আমি।

একসময় পাখিটা আমাকে শারীরিক মানসিক 

ভাবে কাবু করে ফেলল,আমিও জোড় চেষ্টা 

চালিয়ে,পাখিটিকে আধামরা বানিয়ে ফেললাম।

তারপর দোয়েল পাখিও যোগ দিল তারসাথে।

তারপর আমি বুঝতে পারলাম,দোয়েল পাখি

সহ, আরো অনেক পাখি আছে তার অন্তরঙ্গ 

বন্ধু। আমি আজও সেই পাখির রহস্য উদঘাটন 

করতে পারিনি।মনে হয় ওরা জিনদের একটা

শ্রেনি হবে।




Share on Google Plus

About হৃদয়ের প্রশান্তি

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

1 comments:

  1. আগে ভাঙো পরে গড়ো :নামাজের বাতেনি রহস্য(৬ষ্ট পর্ব)
    নামাজকে পৃথিবীতে কেন নাজিল করা হয়েছে?
    উত্তর:প্রাচীনকাল থেকেই মানুষকে একটি কথা ভাবিয়ে তুলত,
    আমার কি কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই।যদি থেকে থাকেন,তাহলে তাকে পাওয়া যায় কিভাবে?তাকে পাওয়ার কোনো পথ কি নেই?
    এই ধরনের প্রশ্ন মানুষকে ভাবিয়ে তুলত।এবং নিজের ভিতরে ভিতরে একটা শুন্যতা অনুভব করত।সবকিছু আছে,সুখ সমৃদ্ধি আছে,তারপরও কি যেন একটা নেই।
    অবস্য সবার এই ভাবনা হয়না,মানুষের মধ্য একটা দলের,এই ভাবনাগুলো মনে উদয় হত,এবং এখনকার জমানায়ও অনেকের মনে এই ভাবনাগুলো উদয় হয়।

    চিরন্তন সত্য একটা ব্যাপার হল,সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ কোনোদিনও পাবেনা,যতক্ষন না সৃষ্টিকর্তা নিজেই তাকে ধরা দেন,অথবা দেখিয়ে দেন।
    এটা একটা সমস্যা ছিল।সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার একটা বাসনা,অথবা তীব্র ক্ষুধা অনেক মানুষের মধ্যেই থাকে অনেকেই আবার কৌতুহল নিবারনের জন্যও সৃষ্টিকর্তাকে পেতে চায়।

    মানুষ কেন মুর্তি পুজা শুরু করেছিল? সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার ক্ষুধা মিটানোর জন্যই মানুষ মনগড়া মুর্তিপুজা শুরু করে।কিন্তু মুর্তিপুজা করে তাঁদের ক্ষুধা মিটেনি।

    কারন মুত্রিপুজা সৃষ্টিকর্তা থেকে মোহর মারা কোনো জিনিস ছিলনা।


    ReplyDelete