হৃদয়ের আকাশেও মেঘ জমে

 মেঘ সুধু বায্যিক আকাশেই জমেনা,আমাদের হৃদয়ের আকাশেও কখোনো কখোনো মেঘ জমে,কখোনো তা আবার ঘন কালো অন্ধকারে রুপ নেয়।

বায্যিক আকাশে মেঘ জমলে যেমন বৃষ্টি ঝড়ে পরে, ঠিক তেমনি হৃদয়ের আকাশের মেঘ থেকেও বৃষ্টি ঝড়ে ।

আমাদের এই আকাশের মেঘ থেকে ঝড়ে পড়া বৃষ্টির পানিতে যেমন জমিনে উর্বরতা বাড়ে,জমিন যৌবন ফিরে পায়,ফসল,ঘাস,তরুলতা ঘন সবুজ হয়ে উদগত হয়,ঠিক তেমনি হৃদয় থেকে ঝরে পরা বৃষ্টির পানিতে অন্তরের প্রশস্ত মাঠ উর্বর হয়,অন্তরে হেকমত,জ্ঞান,প্রজ্ঞা এবং ধী শক্তি সবুজ সতেজ হয়ে বর্ধিত হয়। 

অন্তর একটি মাঠ,যেখানে নফস শয়তান এবং বিবেক বুদ্ধির সাথে সর্বক্ষণ লড়াই চলতে থাকে।প্রথম দিকে নফস শয়তান বিবেক বুদ্ধির উপর বিজয়ী থাকে।ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহির মতে চল্লিশ সাধারনত চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত নফস শয়তান মানুষের উপর বিজয়ী থাকে,অথবা প্রবল থাকে।

আমার মনে হয় চল্লিশ বছরের পর থেকে ধীরে ধীরে নফস শয়তান নিস্তেজ হতে থাকে।চল্লিশ বছরের কাছাকাছি সময়ে নফস শয়তান এবং মানুষের বিবেকের মধ্যে চুড়ান্ত এবং শক্তিশালী একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।এই যুদ্ধে যদি নফস শয়তান বিজয়ী হয়,তবে যার উপর বিজয়ী হয় সেই মানুষটা হয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ।আর এই যুদ্ধে যদি নফস শয়তান হেরে যায়,তাহলে বিজয়ী বিবেকবান মানুষটা হয় পৃথিবীর সবচাইতে দামি মর্যাদিবান মানুষ।


আমার মনে হয় সেই যুদ্ধে ঐ ব্যাক্তিই বিজয়ী হতে পারে যার মধ্যে নিন্মোক্ত গুনগুলো থাকে----


১।বাল্যকাল থেকে নামাজের পাবন্দী থাকা।

২।বালেগ হওয়ার পর থেকে হারাম এবং সন্দেহজনক বস্তু পরিত্যাগ করে চলা।

৩।রোজা,হজ্জ,যাকাত ঠিক রাখা।

৪।সবকাজে সুন্নতের প্রতি খেয়াল রাখা,গুরুত্বসহকারে।

৫।সবসময় পবিত্র থাকা অর্থাৎ ওযু অবস্তায় থাকার চেষ্টা করা।

উপরুক্ত গুন গুলো থাকলে একজন মানুষ নফস শয়তানের উপর সহজেই বিজয়ী হতে পারবে ইনশাআল্লাহ।


Share on Google Plus

About হৃদয়ের প্রশান্তি

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment