আসুন আমরা মৃত্যুর কথা খুব বেশি আরোচনা করি আত্মাকে সজাগ করি

হে প্রিয়! হৃদয় থেকে বলা কথাগুলো দিলের কান দিয়ে শুনো।

আমরা সবাই একের পর এক কবরের ভিতর গিয়ে ঢুকবো; আগামী ১০০ বছরের ভিতর, সবাই, যারা আমরা আজকে এখানে আছি।

হে ভাই! কবরের কথা খুব বেশি পরিমানে মনে করা উচিত। কবরের কথা মনে জাগানোর সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি, যেটা ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, সেটা হল—সমসাময়িক মানুষদের কথা চিন্তা করবে।

তারা কিভাবে আজকে কবরের ভিতর গিয়ে ঢুকেছে। অথচ মনে মনে ভাবতো হাজার বছর বেঁচে থাকবো। মৃত্যু আমাদেরকে আক্রমণ করতে আসবে না। কিন্তু হঠাৎ মৃত্যু এসে তাদের স্বপ্নগুলো চূর্ণ করে দিয়েছে।

হায়! যেই কবরে তারা আটকে গিয়েছে, সেই কবরেতো রাজনীতি কোনো কাজে লাগেনা। কাজে লাগে কেবল এখলাসপূর্ণ আমল। হায়! কি ছাই-ছাতার পেছনে দৌড়ে জীবন নষ্ট করলাম।

এই জগতে তো সেসব কোনো কিছুই কোনো কাজে লাগে না। এখানে তো কাজে লাগে আল্লাহর মারেফতের জ্ঞান এবং নেক আমল।

হায়! কতই না ভালো হতো যদি আল্লাহর মারেফত অর্জনের পেছনে এবং নেক আমলের পেছনে নিজের মূল্যবান জীবন খরচ করতাম।

আহা! কোন গর্তের মধ্যে ফেঁসে গেলাম। এখানে শুধুই চাওয়া হয় এখলাস। এখলাসবিহীন আমল এখানে ভস্ম হওয়া ছাই, যা সামান্য ফুৎকারে উড়ে যায়।

দুনিয়াতে কতজনের সাথে মেলামেশা করতাম, কত হাসি মজা করতাম—কিন্তু সেসবও যদি আল্লাহকে খুশি করার জন্য, সুন্নতের নিয়ম মেনে করতাম, তাহলে সেগুলোর সওয়াবও এখানে পেতাম।

কবরের মধ্যে এভাবে লোকজন গিয়ে আফসোস করতে থাকবে। কারণ সেই মহা সত্য জগতে কোনো ধোঁকা কাজ করবে না।

এজন্য ভাই, আসুন আমরা দুনিয়াতেই আমাদের আত্মাকে বদ্ধ খাঁচা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করি। যেন কবরের মধ্যে আত্মা মারেফতের আসমানে উড়তে পারে।

আত্মাকে মুক্ত করার জন্যই শরিয়তের আমলগুলো প্রাথমিক সবক হিসেবে আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। এটা হলো মূল কাঠামো। HTML কাঠামোর মধ্যে যেমন CSS/JS দিয়ে ওয়েবসাইট সাজানো হয়, শরিয়তও তেমনই একটি কাঠামো।

হে প্রিয়! যদি নিজের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করো তবে উপরোক্ত কথাগুলো ভালো করে বুঝে নিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

© সুলাইমান | হৃদয়ের আলো

Share on Google Plus

About হৃদয়ের প্রশান্তি

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.