হাকিকতুল বাসিরাত
আসুন আল্লাহর মায়ারেফাত অর্জনের জন্য আমরা আমাদের হৃদয়কে যোগ্য করে তুলি।
সবার হৃদয় আল্লাহর মায়ারেফাত পাওয়ার যোগ্য নয়।সবাই আল্লাহকে দেখতেও পারবেনা কেয়ামতের দিন।সুধুমাত্র যে ব্যাক্তি তাকে দেখার যোগ্য সেই দেখতে পাবে।
আমি আগে ভাঙো পরে গড়ো,আর্টিকেলে নামাজের গোপন রহস্য নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।নামাজের গোপন রহস্যের মধ্যে এটাও একটা যে, যেন মানুষ তাকে দেখার যোগ্যতা এবং সেই পরিমান সহ্য ক্ষমতা এবং শক্তি অর্জন করতে পারে।
মূলত আল্লাহ তায়ালাও বান্দাদেরকে কাছে চান,এজন্যই তিনি এত আয়োজন করেছেন,বান্দাদেরকে কাছে পাওয়ার জন্য।
কোনো এক নবীর উপর ওহি হয়েছিলো,অথবা কোনো ওলীর উপর এলহাম হয়েছিলো,আমি কাফেরদেরকেও এই পরিমান চাই,এবং তাদের উপর এই পরিমান দয়ালু যে যদি তারা তা জানতো,তাহলে কলিজা ফেটে মারা যেত,তাহলে এখন উপলব্ধি করো আমি মুমিনদেরকে কি পরিমান কাছে পেতে চাই।
কিমিয়ায়ে সায়াদাত কিতাবে ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন,যার যতটুকু যোগ্যতা এবং সহ্য ক্ষমতা আছে সে সেই পরিমানেই আল্লাহ তায়ালাকে দেখতে পাবে,এবং সেই পরিমানেই পরিতৃপ্ত হবে।
দুনিয়াতে দেখা যায়না কেন?
উত্তর:দুনিয়াতে সেইরকম চোখ দেওয়া হয়নি তাকে দেখার মতো।আমাদের এই চোখ এতই দুর্বল এবং সীমিত, সীমাবদ্ধ যে এই চোখ তাকে দেখার যোগ্যতা রাখেনা।দেখ!আমাদের এই চোখ দেয়ালের ওপাশে কি আছে তাও দেকতে পারেনা।
আরিফরা আল্লাহকে দেখেন কিভাবে?
উত্তর:আরিফরা বাহ্যিক চোখ দিয়ে দেখেননা। তারা অন্তরের দৃষ্টি দিয়ে দেখেন।যার অন্তরের দৃষ্টি যত প্রখর সে তত পরিষ্কার দেকতে পারে।
কোনো এক আরিফ বলেছেন,সম্ভবত বড়পীর আব্দুল কাদের জীলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছিলেন,আরিফরা দুনিয়াতে হৃদয়ের চোখে তাকে দেখে এবং আখিরাতে তারা বাহ্যিক চোখেই দেখবে।
0 comments:
Post a Comment