Posts

Showing posts from February, 2025

মানুষ রুহ এবং আত্মা সমন্বয়ে গঠিত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম  মানুষ রুহ এবং আত্মা সমন্বয়ে গঠিত।শরীর কে আমরা সবাই দেখি কিন্তু আত্মাকে দেখিনা। আত্মা হলো আল্লাহর রহস্য সমূহ থেকে একটি রহস্য। তিনি মানুড়ষের চক্ষু থেকে তা গুপ্ত রেখেছেন। আত্মাই   মানুষের পরিচালক এবং বাদশা এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হল আত্মার খাদেম। আল্লাহতালা বলেন যে আত্মশুদ্ধি অর্জন করেছে সে সফলকাম হয়েছে এবং সেই ব্যর্থ হয়েছে যে আত্মা কে কলুষিত করেছে। দুনিয়ার সমস্ত মানুষ শুধুমাত্র শরীরকে নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। আর আত্মশুদ্ধি অর্জনের কাজে হাতেগোনা কয়েকজন বান্দারা জড়িত রয়েছে যাদেরকে আল্লাহতালা মহা ভাগ্যবান বানিয়েছেন। পৃথিবীতে নবী-রাসূল এবং শরীয়ত প্রেরণের উদ্দেশ্য মানুষের আত্মশুদ্ধি অর্জন করা। যারা শেষ নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনিত শরীয়ত পুরোপুরি মেনে চলবে তাদের আত্মা পবিত্র হবে যারা এই শরীয়ত মেনে চলবে না তাদের আত্মা  কলুষিত হবে। 

আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা

 بسم الله الرحمن الرحيم আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা  আল্লাহর নিকট ইসলাহের তাওফীক প্রার্থনা করুন হযরত মাওলানা মুফতি তকী উছমানী আমার হযরত (ডা. অবদুল হাই আরেফী) রাহ. বলতেন- আল্লাহ তাআলা বড়ই দয়ালুু ও মেহেরবান। মা-বাবার চেয়েও বহুগুণে বেশি। অতএব আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট নিঃসঙ্কোচে চাইতে থাক। এভাবে বল যে, আয় আল্লাহ! আপনি দুনিয়াতে আমাকে ভালো কাজ করার তাওফীক দিন অথবা আখেরাতের পাকড়াও থেকে রেহাই দিন। আমি আপনার দরবারে আমার সার্বিক বিষয় অর্পণ করছি। আপনি আমার হালত দুরস্ত করে দিন, আমাকে ইসলাহ করে দিন অথবা আখেরাতের আযাব থেকে মুক্তি দিন। এভাবে আল্লাহর কাছে চাইতে থাক। মানুষ এগুলোকে মামুলি বিষয় মনে করে। এজন্য এর প্রতি এত গরজ করে না। কিন্তু বাস্তবতা হল, ইসলাহের জন্য এটা অনেক মুফীদ ও উপকারী একটি মাধ্যম। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নিকট  সবসময় নাছোড়বান্দা হয়ে চাইতে থাকা। আর যে ব্যক্তি এভাবে নিয়মিত দুআ করে সে অবশ্য নিজের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টাও অব্যাহত রাখে। এজন্য দুআর অর্থ কখনও এই নয় যে, শুধু দুআই করে যাব। চেষ্টা, মেহনত-মোজাহাদা কোনো কিছুই আর করা লাগবে না! বরং আল্লাহ তাআলা সর্বক্ষেত্রে এ হু...