নফসের প্রতারনায় প্রতারিত হয়ে শয়তান এখন চির বিতারিত

শয়তানকে আসলে কোনো শয়তান ধোঁকা দেওয়ার ছিলনা, কিন্তু তার ভিতরেই আরেকটি বড় শয়তান লুকিয়ে ছিল। কিন্তু শয়তান সেই বড় শয়তানকে টেরও পায়নি। অথবা টের পাইলেও উত্তরনের কোনো উপায় তার জানা ছিলনা। সেজদা দিলে সে বেঁচে যেত—অহংকার ভিতরে থাকুক আর না থাকুক। সবচেয়ে বড় পীর এবং হাকীকী বা প্রকৃত মুর্শীদ হলেন সৃষ্টিকর্তা নিজেই। তিনিই চিকিৎসা করেন। শয়তানের অহংকারের চিকিৎসা হয়ে যেত যদি তিনি আদম (আ.)-কে সেজদা দিতেন। কিন্তু কালপিট ইবলিশ সেই কাজ করেনি, হাকিকি মুর্শিদের গুরুত্বপূর্ণ একটি হুকুম অমান্য করেছে, যেকারনে সে এসলাহ লাভ করতে পারেনি।

কয়েকটি ঘটনা

একবার মুসা (আ.) তূর পর্বত উপত্যকায় নিভৃতে সৃষ্টিকর্তার সাথে কথা বার্তা বলে মনকে ঠান্ডা করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শয়তান তার পথ আটকে দাঁড়ালো। মুসা (আ.) তাকে সরে যেতে বললেন। শয়তান বলল, আমি আপনার পথ ছেড়ে দিব, যদি আপনি আমার একটি কথা রাখেন। কালিমুল্লাহ বললেন: কী কথা? শয়তান বলল: আমার তওবা কবুল হবে কিনা একটু জিজ্ঞেস করবেন। (তওবা করতে মন চায়, এত নৈকট্যপূর্ণ মর্যাদায় ছিলাম, এখন এই দূরত্ব তো আর ভালো লাগছে না।)

মুসা (আ.) বললেন: আচ্ছা, বলব। পথ ছেড়ে দে। তূর পর্বতে গিয়ে কথোপকথনের মাঝে তিনি শয়তানের কথা ভুলেই গেলেন। যার সাথে কথা বলছেন, তিনি-ই মনে করিয়ে দিলেন: “পথে আসার সময় কেউ কিছু বলেছিল কিনা?” মুসা (আ.) বললেন: হ্যাঁ, ভুলেই গিয়েছিলাম! আপনার এক বান্দা—নাম, শয়তান। সে জানতে চেয়েছিল, তার তওবার কোনো পথ আছে কিনা।

আল্লাহ বললেন: দেখা হলে বলে দিও— “আদমের কবরে একটি সেজদা দিলে তওবা কবুল হবে।”

পরবর্তীতে দেখা হলে মুসা (আ.) তাকে বললেন: “আদম (আ.)-এর কবরে একটি সেজদা দে, অবশ্যই তওবা কবুল হবে।”

শয়তান বলল: জীবিত আদমকেই সেজদা দেইনি, এখন মৃত আদমকে সেজদা দেওয়ার কথা বলছেন? আমার দ্বারা এটা কোনোকালেও সম্ভব হবেনা।

অনবদ্য একটি কবিতা পাঠ করতে ক্লিক করুন

Share on Google Plus

About হৃদয়ের প্রশান্তি

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.